ভূত নিয়ে আমার কোন ধারণা নেই। তবে ধারণা না থাকলেও এই বস্তুকে আমি প্রচণ্ড ভয় পাই।
রাত ১২টায় যখন ঘুমাতে যাই, তখন রাস্তার গাড়ির হর্ণে বুক কাঁপে। সকাল ৫টায় যখন অ্যালার্মের সময় মোবাইল যখন ভাইব্রেট করে তখন ঘুমের মধ্যেই কাঁপতে থাকি, মনে হয় ভুমিকম্প হচ্ছে। এই ভয় কাটতে ১-২ ঘণ্টা সময় লাগে। এজন্য ভোর ৫টায় ঘুম ভাঙ্গলে আমি উঠি ৭টায়।
স্কুলে আমার সাথে যারা পড়ে তারা সবাই সারাদিন পড়াশোনা করে। ভূত নিয়ে চিন্তা ভাবনার সময় তাদের নেই। পড়ালেখা ছাড়া অন্য সব বিষয়ে তাদের জ্ঞান গরু সমতুল্য!
আমার যে ক’জন ভাল বন্ধু আছে তাদের মধ্যে আমার ভাইয়া অন্যতম। ভাইয়ার ভাষায়, ভূত বলে কিছু নেই। তিনি কখনও সরাসরি এই কথা বলেননি। কিন্তু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, সে ভূত ভয় পায় না। তবে সে তেলাপোকা খুবই ভয় পায়। এটা কঠিন সত্য! তেলাপোকা ভয় না পেলে ভাইয়াকে মোটামুটি সাহসী মানুষ বলে চালিয়ে দেয়া যেত।
আমি ভূত ভয় পাই এটা শুনে ভাইয়া বলেছিল ভূতকে ওর ই-মেইল অ্যাড্রেস দিতে। কিন্তু এখনো কোন ভূতের দেখা পাইনি। তাই ই-মেইল অ্যাড্রেস দেয়া সম্ভব হয়নি ।
আমার আব্বু মনে করে, কিছুই নেই। আম্মুও বলে কিছু নেই। খালামনি বলে, ভূত নেই, জীন আছে । আর নানা ভাইয়ের কোন ধারণা নেই।
তানভির মামা বলেছে ভূত বেশি ভয় পেলে ঘরে কারবলিক এসিড দিয়ে রাখতে। এর বিকল্প হিসেবে ইঁদুর মারার বিষ ব্যবহার করা যেতে পারে । তার কাছে কেন জানি মনে হয়েছে, ভূতের সাথে ইঁদুর আর সাপের স্বভাবের মিল আছে!
ইশরাক ভাইয়া বলে, ভূতের চেয়ে নাকি পেত্নি ভয়ঙ্কর। একটা মেয়ে নাকি পেত্নি রূপে আবির্ভূত হয়ে তাকে ছেঁকা দিয়ে চলে গেছে যার কারণে তার মনে এই ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে ।
আমি নিজে মনে করি জীন বা পেত্নি না থাকলেও ভূত আছে। আমার কথাই ধরা যাক, আমার বাসায় যেই অদৃশ্য প্রাণিটা আছে সেটা আমাকে রাতের বেলা ভয় দেখায়। টেবিল এর উপর থেকে পেন্সিল বক্স বা বই খাতা হঠাৎ হঠাৎ নিচে ফেলে দেয়। মাঝে মধ্যেই বাঁশির মত শব্দ করে । সব মিলিয়ে "পেইন" এ আছি! এই গল্প লেখার মূল কারণ এটাই। এছাড়া আর কোন কারণ নাই ।
শিক্ষার্থী, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ