১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম শিশুনীতি প্রণয়ন করেন। সেই নীতির আলোকে নতুনভাবে এ বছর জাতীয় শিশুনীতি ২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করার প্রস্তাবও করা হয়েছে এ নীতিতে। এ নীতি অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ নীতিতে শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। শিশুদের শ্রম থেকে সুরক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বছরের শুরুর দিকে মন্ত্রীপরিষদ সভায় শিশুনীতি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ১৯৭৪ সালের শিশুনীতির আলোকে সম্প্রসারণ করে এ নীতি প্রণয়ন করা হয়।
বাংলাদেশে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় শিশুনীতির চূড়ান্ত অনুমোদন বছরের অন্যতম একটি অর্জন। নতুন নীতিতে শিশুর অবস্থাকে শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরী এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের মতো জাতীয় শিশুনীতিতেও ১৮ বছরের কম বয়সী সকল মানবসন্তানই শিশু।
দেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক সনদগুলোর আলোকে শিশুর অধিকার নিশ্চিতকরণ, শিশু দারিদ্র্য বিমোচন, শিশুর প্রতি সব নির্যাতন ও বৈষম্য দূরীকরণ, শিশুর অধিকার বাস্তবায়নে জবাবদিহিতা ও শিশুর সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ বিষয়ে শিশুদের অংশগ্রহণ ও মতামত নিশ্চিতকরণ, এই পাঁচটি মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে জাতীয় শিশুনীতি করা হয়েছে।
নতুন শিশুনীতিতে শিশুদের জন্য ন্যায়পাল নিয়োগের কথাও বলা হয়েছে। ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের বয়ঃসন্ধীকালীন বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গৃহকর্মে বা অন্যান্য কাজে নিয়োজিত শিশুদের প্রতিমাসে কমপক্ষে একবার বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে মিলিত হওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১১