ঢাকা: দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল ৭ দিন। এরসঙ্গে পর্দা নামল বাংলাদেশে শিশুতোষ চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব-২০১২’ এর।
অনেক অনেক মুভি দেখা, বিখ্যাত ব্যক্তিদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে আর শিখতে পারা, কর্মশালা আর সেমিনার করাসহ কত কিছুই করেছে শিশুরা এই দিনগুলোতে। কিন্তু কাল থেকে আবার সেই আগের রুটিন।
শুক্রবার উৎসবের শেষ দিনটি শিশুরা একটু কষ্ট নিয়েই কাটিয়েছে। বিদায়ের সুর বেজে উঠেতেই বিভিন্ন জেলা থেকে উৎসবে আসা শিশুদের মনে যেন তা কিছুটা কষ্টের ছাপ এঁকে দেয়। মাত্র সাত দিনেই এই উৎসব তাদের পরষ্পরকে অনেক এক অন্যের অনেক আপন করে নিয়েছে।
তবে যার শুরু আছে তার শেষও আছে- এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সন্ধ্যায় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ৫ম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব।
অনুষ্ঠানে শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা ও রচনা লেখকদের মাঝে সনদপত্র প্রদান করা হয়।
এবার সেরা রচনার জন্য সনদপত্র পেয়েছে ‘ক’ গ্রুপে সাদিয়া রহমান সাধিতা এবং ‘খ’ গ্রুপে সৈয়দ মোহাম্মদ ইয়াসির। আর সেরা চলচ্চিত্রে প্রথম হয়েছে দ্যা ইউনিট (নির্মাতা: তৌকির ইসলাম), দ্বিতীয় ৩ নভেম্বর (নির্মাতা: রায়হান আহম্মেদ), তৃতীয় চ্যাপলিন রিটার্নস (নির্মাতা: আবুল কালাম আজাদ)।
এছাড়া ইচ্ছেঘুড়ির প্রতিবেদক আবির ফেরদৌসের নির্মিত ৩..২..১..০ অ্যাকশন ও নাফিসা ফাতেমা নির্মিত বর্ণহীন চলচ্চিত্র বিশেষ পুরষ্কার পেয়েছে।
সবশেষে আনন্দের খবর হচ্ছে আসছে বছরের শুরুতে আবার অনুষ্ঠিত হবে এই শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের ১৯ থেকে ২৫ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১২