ঢাকা: শিশুরা পাবে তাদের সাংবিধানিক অধিকার। থাকবে সব ভালো কাজের সঙ্গে।
শিশু দিবসে জাতীয় শিশুনীতির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের দাবি উঠেছে শিশুসংগঠক, অভিভাবক ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে।
দিনটি ঘিরে সারাদেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে চলছে ১২ দিনব্যাপী শিশুতোষ বইমেলা। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই মেলা চলছে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো শিশুদের জন্য প্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে এক শিশু সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
পটুয়া কামরুল হাসান আর্ট স্কুল ও পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে সকালে লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এসব আয়োজনে রয়েছে শিশু-কিশোরদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ।
সবকিছুর পরও একটিই কথা, আমাদের দেশের শিশুরা তাদের মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত। প্রতিদিন হাজারো শিশু অর্ধাহারে, অনাহারে রাতে ঘুমাতে যায়।
জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম দিকে থাকলেও দেশের মোট শিশুর বড় একটি অংশ শিশুশ্রমের সঙ্গে যুক্ত।
অন্যদিকে সুবিধাপ্রাপ্ত শিশুরাও সত্যিকারভাবে অনুকূল পরিবেশে বড় হয়ে উঠছে, তা নয়। পড়াশোনার চাপে ইট-কাঠের শহরে তাদের শ্বাস কেবলই বন্ধ হয়ে আসে। চারদিকে কেবলই বাড়ি আর বাড়ি। কোথাও নেই একটু খেলার মাঠ। মুক্ত বাতাস, দামাল হয়ে ওঠার একটুখানি জায়গা।
জাতীয় শিশু দিবসে সবার প্রত্যাশা, আমাদের শিশুরা যেন পায় পরিপূর্ণ অধিকার।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১২
সম্পাদনা: আরিফুল ইসলাম আরমান, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি ও আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর