চাকাকে বলা যায় সভ্যতার গতি। মানুষের ধীরগতির জীবনে গতি আনে চাকা।
এক সময় বনের পশুকে পোষ মানাতে শেখে আদিম মানুষ। গৃহপালিত প্রাণীতে পরিণত হয় গরু, গাধা, ঘোড়া, উট প্রভৃতি প্রাণী। এবার এসব প্রাণীর পিঠে বোঝা চাপিয়ে পণ্য বহন শুরু হয়।
সভ্যতার ক্রমবিকাশ হতে থাকে এভাবে। মানুষ যে সব সময়ই গতি পছন্দ করতো, করে তা প্রকাশ পেতে থাকে ধীরে ধীরে। একপর্যায়ে গাছের গুঁড়ির চাকতি কেটে তার মাঝ বরাবর ছিদ্র করা হয়। এটাই ছিল সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম চাকা।
এই চাকা আবিষ্কারের পর এখানেই থেমে থাকলো না। এবার এতে যুক্ত হলো একটি দণ্ড। দুই চাকাকে জুড়ে দিয়ে তার সঙ্গে যুক্ত হলো কাঠের পাটাতন। তৈরি হয়ে গেল পৃথিবীর প্রথম অপরিণত গাড়ি।
ধারণা করা হয়, খ্রিস্টপূর্ব সাড়ে তিন থেকে তিন হাজার বছর আগে মেসোপটেমিয়ায় (বর্তমানে ইরান) আবিষ্কার হয় এ চাকা। তারপর কালের বিবর্তনে রূপ পেয়েছে হালের মেটালের চাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
এসআই