ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে আইনজীবীদের সব আদালত বর্জন কর্মসূচির তৃতীয় দিন চলছে।
সোমবার (০৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলার কোনো আদালতেই যায়নি আইনজীবীরা।
তারা আইনজীবী সমিতির কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে তাদের কর্মসূচি পালন করছে। এতে করে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিকেলে আইনজীবী সমিতির এক সভায় পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারনের দাবিতে বৃহস্পতি, রবি ও আজ সোমবার পর্যন্ত ৩ দিনের জন্য সব কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি।
এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বিচারকরা এজলাসে নিয়মিত আসলেও আইনজীবীরা আদালতে না আসায় বিচার প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, বিকেলে আমাদের সাধারণ সভা থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গেল ১ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতন্ডা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুসারে বিচারক মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি।
এছাড়াও তারা জাল স্ট্যাম্প ও বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জাড়িত আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণে জেলা জজের কাছে দাবি জানান।
আইনজীবীদের অভিযোগ জেলা জজ ওই নাজিরকে রক্ষায় ভূমিকা রাখছেন এবং জেলা জজরে ইন্ধনেই বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কর্মবিরতি ও মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করে। সেজন্য তারা জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৩
এসএ
