ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বন্ধুকে ধর্ষণের পর হত্যা: দিহানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
বন্ধুকে ধর্ষণের পর হত্যা: দিহানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’ লেভেলের এক স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় তার বন্ধু ফারদিন ইফতেখার ওরফে দিহানের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সরওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে তার আপিল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কাজী ফেরদাউসুল হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি জানান, বিচারিক আদালতে দিহানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন তিনি। আজ আপিল নিষ্পত্তি করে তার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলাটির বিচার দ্রুত শেষ করতে বলেছেন।

২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে দিহানের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে মেসেঞ্জারে নিয়মিত কথা হতো। পরিচয়ের এক মাসের মাথায় ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি দিহান মেসেঞ্জারে স্কুলছাত্রীকে তাদের বাসায় যেতে প্ররোচিত করেন।

২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি গৃহকর্মী বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে ফোন কল দিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে বাসার বাইরে বের হতে বলেন দিহান। ওই কিশোরী তার বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে নিজেদের বাসায় নিয়ে যান দিহান। পরে দিহান তার বাড়ি থেকে তার ওই বন্ধুকে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে তার আগেই তার মৃত্যু ঘটে।

পরদিন দিহানকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা। পরে পুলিশ দিহানকে গ্রেফতার করে।

ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেছিলেন, মেয়েটির শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিকৃত যৌনাচারের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

এ মামলায় গত বছরের ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

পরে গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭- এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।