ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলায় দুই আসামি খালাস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলায় দুই আসামি খালাস

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় আলোচিত বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে দুই আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহের এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আল আমীন (২৭) এবং পাবনার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মন্ডলের ছেলে ইউসুফ আলী (২৭)।

তারা দুজন কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার মাদরাসা ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

এ ঘটনায় মিঠুন (২০) ও নাহিদ (২১) নামে দুই আসামি কারাগারে রয়েছেন। কুষ্টিয়া শিশু আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছেন। তারা একই মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন এবং জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর (গোলাবাড়িয়া) এলাকার সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। পরদিন কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দীন কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

এ ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি ৪২৭/৩৪ ধারার মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে মাদরাসার দুই ছাত্রের পাঁচ দিন এবং দুই শিক্ষকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

তারা চারজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরে অংশ নেয় দুই ব্যক্তি। ঘটনাস্থলের পাশের একটি সিসিটিভি ফুটেজে এই ঘটনা ধরা পড়ে। রাত ২টার পর দুই ব্যক্তি পিঠে ব্যাগ নিয়ে এসে মই দিয়ে ওপরে ওঠে। এরপর তারা ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করে ভাস্কর্য ভেঙে নিরাপদে চলে যায়। বঙ্গন্ধুর ভাস্কর্যটির ডান হাত, পুরো মুখমণ্ডল ও বাঁ হাতের আংশিক ভেঙে ফেলা হয়।  

ওই ঘটনার পর থেকে সেই সময় কয়েকদিন ধরে কুষ্টিয়া শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন করেছিল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়া‌রি ১৯, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।