ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

খুলনায় সবুজ হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
খুলনায় সবুজ হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

খুলনা: খুলনার তেরখাদা উপজেলার আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামের আলোচিত পলাশ শেখ ওরফে সবুজ হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

রোববার (৯ এপ্রিল) খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের তকুব্বর ফকিরের ছেলে রোমান ফকির ও আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে মিলু। রায় ঘোষণার সময় তারা পলাতক ছিলেন।

অপরদিকে এ মামলার অপর দুই আসামি মুরাদ শরীফ ও খসরু মোল্লার নামে রাষ্ট্রপক্ষ আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলমঙ্গীর হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে পলাশ ওরফে সবুজ। হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি মিলু মোল্লার বাড়িতে পলাশের প্রায়ই যাতায়াত ছিল। এ কারণে মিলু মোল্লা পলাশ ও তার স্ত্রী রিক্তা বেগমকে সন্দেহ করতো। এ অবস্থায় মিলু মোল্লা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর রাত ৯টায় বাড়ি থেকে পলাশকে ডেকে নেয়। তারপর অনেক খোঁজাখুজির পর পলাশের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে পলাশের পরিবার গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে আসামি মিলু মোল্লা তার স্ত্রীর অবৈধ প্রেমকে ঠেকানোর জন্য অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বারাসাত গ্রামের উত্তর পাশে বিলের ভেতর নিয়ে গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে থাকে। পরে ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর আসামি রোমান মোল্লা তার শ্বশুরবাড়ি রাজাপুর এসে স্থানীয় কয়েকজনের সামনে পলাশ হত্যাকাণ্ডের গোমর ফাঁস করে। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন নিহত পলাশের মা বেগম বিবি বাদী হয়ে চারজন আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে এ হত্যা মামলার আসামি রোমান ফকির গ্রেফতার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল এ মামলার আসামি রোমান ফকিরের দেখানো স্থান থেকে পলাশের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেরখাদা উপজেলার পাতলা পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবর আলী খান চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ২২ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২৩
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।