ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হেল্প লাইনে আইনি সেবা নিয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের ৪৪ জন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
হেল্প লাইনে আইনি সেবা নিয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের ৪৪ জন

ঢাকা: আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘জাতীয় আইনগত প্রদান সহায়তা সংস্থা’র মাধ্যমে বিনামূল্যে টোল ফ্রি হটলাইনের মাধ্যমে গত সাত বছরে তৃতীয় লিঙ্গের ৪৪ জন আইনি সেবা নিয়েছে।

জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ‍তুলে ধরা হয়।

২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় লিঙ্গের এই ৪৪ জন সেবা নেন।

২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পর্যায়ে ২৪x৭ ঘন্টা আইনগত সহায়তা সেবা প্রদানের জন্য টোল ফ্রি ন্যাশনাল হেল্পলাইনটির নম্বর হচ্ছে ১৬৪৩০।

এরপর ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তৃতীয় লিঙ্গের কেউ এই সেবা নেননি। প্রথম ২০১৮ সালে একজন সেবা নেন। এরপর ২০১৯ সালে ১৩ জন, ২০২০ সালে ছয় জন, ২০২১ সালে ২১ জন, ২০২২ সালে তিনজন আইনি সেবা নেন।

এছাড়া গত ৭ বছরে ৩৮ হাজার ৮৫ জন নারী, এক লাখ ১৩ হাজার ১৮৮ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৯৬ জন শিশু জাতীয় হেল্পলাইনে এই সেবা নেন। ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোট এক লাখ ৫৩ হাজার ৪১৩ জন এই সেবা নেন।

দরিদ্র ও অসহায় বিচার প্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করে।

এ আইনের আওতায় সরকার ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করে এবং দরিদ্র অসহায় মানুষের আইনের আশ্রয় ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এ সংস্থার অধীনে প্রত্যেক জেলায় জেলা ও দায়রা জজকে চেয়ারম্যান করে একটি করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করে।

এছাড়া সুপ্রিম কোর্টেও একটি কমিটি রয়েছে। যার চেয়ারম্যান হচ্ছেন হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি।

সরকারি আইনি সেবা প্রাপ্তির যোগ্যতা
অসচ্ছল বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তি যার বার্ষিক গড় আয় সুপ্রিম কোর্টে আইনগত সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে দেড় লাখ এবং অন্যান্য আদালতের ক্ষেত্রে এক লাখ টাকার ঊর্ধ্বে নয়।

মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকার ঊর্ধ্বে নয় এবং যে কোনো শ্রমিক যার বার্ষিক গড় আয় এক লাখ টাকার ঊর্ধ্বে নয়। যেকোনো শিশু; মানব পাচারের শিকার যেকোনো ব্যক্তি; শারীরিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন এবং যৌন নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু; নিরাশ্রয় ব্যক্তি বা ভবঘুরে; যেকোনো উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠীও সম্প্রদায়ের লোক। পারিবারিক সহিংসতার শিকার অথবা সহিংসতার ঝুঁকিতে আছেন এরূপ যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি; বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন এমন ব্যক্তি; ভিজিডি কার্ডধারী দুঃস্থ মাতা; দুর্বৃত্ত দ্বারা এসিড দগ্ধ নারী বা শিশু।

আদর্শগ্রামে গৃহ বা ভূমি বরাদ্দ প্রাপ্ত ব্যক্তি; অসচ্ছল বিধবা স্বামী পরিত্যক্তা এবং দুঃস্থ নারী; যেকোনো প্রতিবন্ধী; বিনা বিচারে আটক অস্বচ্ছল ব্যক্তি; আদালত কর্তৃক আর্থিকভাবে অসহায় বা অসচ্ছল বলে বিবেচিত ব্যক্তি; জেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিবেচিত বা সুপারিশকৃত অসহায় বা অসচ্ছল ব্যক্তি এবং এ আইনের উদ্দেশ্যে পূরণে সংস্থা কর্তৃক চিহ্নিত ব্যক্তি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
ইএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।