ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

খুলনার স্কুলছাত্র অপু হত্যার ১৯ বছর পর হঠাৎ করেই রায়!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
খুলনার স্কুলছাত্র অপু হত্যার ১৯ বছর পর হঠাৎ করেই রায়! ছবি: প্রতীকী

খুলনা: ১৯ বছর পর খুলনার পিপলস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র আবু সালেহ অপু হত্যা মামলায় ২ আসামি উজ্জ্বল ও শহীদুলকে ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে এ মামলার অপর ৪ আসামি রাজীব, কামরুল, বাবু ও রাসেলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।

সোমবার (৮ মে) খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক আবদুস সালাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ ।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর পর এ মামলাটি হঠাৎ করে সোমবার শিশু আইন হিসেবে গণ্য করে রায় দেওয়াকে গ্রহণ করতে পারছি না। আমরা সংক্ষুব্ধ হয়েছি। এ মামলা উচ্চ আদালতে গেলে বাদী সঠিক বিচার পাবে।

তিনি বলেন, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষ থেকে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে অপু ঘরে ভাত খাচ্ছিল। এ সময়ে মামলার আসামি উজ্জ্বল অপুকে ডাকতে থাকে আর অন্যান্য আসামিরা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। বাবা মজনু অপুকে ডেকে দিলে আসামিদের সঙ্গে সে বাইরে চলে যায়। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উজ্জলকে অপুর বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর দেয় আপনাদের বাসায় ১ সপ্তাহের বেশি আসি না। এমন উত্তরে অপুর বাবা চিন্তিত হয়ে পড়েন। সম্ভাব্য সবস্থানে তার খোঁজ নিয়ে ব্যর্থ হন তিনি। পরে তিনি উল্লিখিত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরের দিন আসামিদের স্বীকারোক্তিতে মুজগুন্নি কৃষি ব্যাংকের সীমানা প্রাচীরের পাশের ধানক্ষেত থেকে অপুর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।