ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জামিনে থাকা শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার: দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
জামিনে থাকা শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার: দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব

ঢাকা: উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকার পরও কলেজ শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী ১৮ জুন স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হয়ে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ  রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে জামিনে থাকা সত্ত্বেও উদ্দেশ্যমূলক গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের  ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

ওসি ছাড়া অপর পুলিশ কর্মকর্তা হচ্ছেন পটুয়াখালী সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমান।

গত ২০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জামিন নেওয়া শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়া কলেজ শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের করে আদালতের পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে আসামির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় পুলিশকে হাইকোর্টের জামিনের কপি দেখালেও তা আমলে নেয়নি বলে দাবি আসামির পরিবারের।

পরিবারের অভিযোগ, আটকের পর পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। তা দিতে না পারায় পুলিশি ক্ষমতার বলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। যদিও হাইকোর্টের জামিননামা দেখে শুক্রবার দুপুরে আসামিকে ছেড়ে দিয়েছেন পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন। আশারাফুল হাওলাদার পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের বাজারঘোনা গ্রামের আব্দুল লতিফ হাওলাদারে ছেলে। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতি।

আশরাফুলের চাচা রাজা মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সদর থানা পুলিশের এএসআই মিজানুর রহমান তার ভাতিজাকে আটক করেন। তার পরিবার ওই রাতে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আলী আহসান মোল্লার স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র ও জামিননামার অনলাইন কপি দেখায় পুলিশকে। এ প্রসঙ্গে এএসআই মিজানুর রহমান বলেন, আমি ওয়ারেন্ট অনুযায়ী আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এরপর আশরাফুলের পরিবার ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেছেন, ওসি স্যার কাগজপত্র দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ওই প্রতিবেদন ২১ মে আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা। এরপর হাইকোর্ট আদেশ দেন। আদেশের লিখিত অনুলিপি সাংবাদিকদের হাতে এসেছে সোমবার।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, মে, ২০২৩
ইএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।