ঢাকা: সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর নামে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিপক্ষে আইনজীবী অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সেই আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
পরে আসলাম চৌধুরীর আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানান, চার্জ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
এ আসামির নামে মোট ৬৮টি মামলা আছে বলে জানান তিনি। যার মধ্যে তিন মামলায় তিনি জামিন না পাওয়ায় এখনও কারাগারে রয়েছেন। গত ৭ বছর ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারির বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাজনীল চৌধুরীর নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা ২০১৯ সালের ১৩ মে আসলাম চৌধুরী ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে থাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য দুদকে দাখিলের জন্য নোটিশ দেন। তিনি কারাবন্দি থাকায় কারাগারেও নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশ পেয়ে তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ২১ কর্মদিবস, এরপর আরও ১৫ কর্মদিবস সময় দেয় দুদক। কিন্তু তিনি ওই সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তিন মাস সময় চেয়ে ফের আবেদন করেন। সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই জানিয়ে তাকে নোটিশ দেওয়ার পরও তিনি সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেননি। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের আদেশ মোতাবেক সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলাটি তদন্তের পর ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২৩
কেআই/আরবি