ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আইনজীবীকে হত্যা: দুই নিরাপত্তা প্রহরীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
আইনজীবীকে হত্যা: দুই নিরাপত্তা প্রহরীর আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রতীকী ছবি

ঢাকা: প্রায় ১১ বছর আগে রাজধানীর মিরপুরে চুরি করতে গিয়ে রওশন আক্তার নামে এক আইনজীবী খুনের মামলায় দুই নিরাপত্তা প্রহরীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (১১ জুন) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. আলী আহমেদ এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন সোলায়মান রবিন ওরফে তাজুল এবং রাসেল জমাদার শাকিব। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারাগারে থাকা দুই আসামিকে রায় ঘোষণার জন্য আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুল হক বাদল এ তথ্য জানান।

জানা যায়, পরিবার নিয়ে রাজধানীর মিরপুরের ৩ নম্বর রোডের এ-ব্লকে থাকতেন আইনজীবী রওশন আক্তার। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি তার বাসায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। টাকার জন্য তারা চুরির পরিকল্পনা করতে থাকেন। ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারা একটি বালিশের কভার নিয়ে অ্যাডভোকেট রওশন আক্তারের বাসার সামনে যান। রওশন দরজা খুললে জানতে চায় বালিশের কভারটি তার কি না? তখন তিনি না জবাব দেন।

এসব কথা বলার এক পর্যায়ে আসামিরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে বিছানার ওপর নিয়ে চাদর দিয়ে তার পা বেঁধে ফেলেন। এরপর ছুরি বের করে তাকে ভয় দেখাতে গিয়ে নিজেদের হাত কেটে ফেলেন। পরে ওড়না পেঁচিয়ে রওশন আক্তারকে তারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর বাসা থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান তারা।

এ ঘটনায় রওশন আক্তারের স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মাহবুব-ই সাত্তার পরদিন মিরপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুইজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

পরের বছর ২০১৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
কেআই/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।