যশোর: যশোরের কেশবপুরে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়াও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১১ জুন) যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. গোলাম কবির এ আদেশ দেন।
যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি সেতারা খাতুন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আল আমিন সরদার কেশবপুর উপজেলার শ্রীফলা গ্রামের শহিদুল সরদারের ছেলে।
মামলার প্রাথমিক বিবরণীতে জানা যায়, ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন আল আমিন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ১০ মে পর্যন্ত বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক গড়েন তিনি। এর মাঝে ওই ছাত্রীর শারীরিক গঠনে পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। পরে বিষয়টি জানতে পেরে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে বলা হয় আল আমিন সরদারকে। কিন্তু তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে ছাত্রীর বাবা ২০২০ সালের ১৭ জুলাই কেশবপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট জমা দেন এসআই সুপ্রভাত মন্ডল। সর্বশেষ রোববার আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্র আরও জানায়, এ মামলার বিচারকালে ওই ছাত্রী একটি মেয়েশিশুর জন্ম দেন। পরে ওই শিশু ও আল আমিনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। সেখানে প্রমাণিত হয় মেয়েটি আল আমিনের।
আদালত আরও নির্দেশ দেন, ওই শিশুর পিতৃ পরিচয় অর্থাৎ জন্ম সনদে আল আমিনের নাম থাকবে। এছাড়া বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত সন্তানের (ওই শিশু) ভরণপোষণের ব্যয়ভার সরকার বহন করবে; যা আল আমিনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি থেকে আদায় করা হবে। যদি আল আমিনের সম্পত্তি না থাকে সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সম্পত্তির মালিক হলে ওই সময় সে সম্পত্তি থেকে ব্যয়ের টাকা আদায় করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
ইউজি/এসএএইচ