ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অনুসন্ধান না হওয়া পর্যন্ত কাজী সালাউদ্দিন নিয়ে মতামত নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
অনুসন্ধান না হওয়া পর্যন্ত কাজী সালাউদ্দিন নিয়ে মতামত নয়

ঢাকা: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে সব পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ভুয়া ও মানহানিকর তথ্য অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে কাজী সালাউদ্দিনের রিটে বুধবার (১৪ জুন) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে কাজী সালাউদ্দিনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি ও অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এর আগে আর্থিক অনিয়ম এবং কাগজ জালিয়াতির দায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা দুই বছরের জন্য সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করে। এছাড়া বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে।

এর প্রেক্ষিতে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সেই রিটে হাইকোর্ট রুলসহ দুদককে চার মাসের মধ্যে অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন।

বুধবার আদেশের পরে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, চার মাসের মধ্যে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে আরেকটি রিটে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এটা দুদক অনুসন্ধান করছে। এ বিষয়টাতে আমরা যেন পরবর্তীতে কোনো মতামত না দিই। এটা সবার জন্য অ্যাপলিকেবল। তারাও মতামত দিতে পারবে না এই বিষয়ে। তবে অন্য বিষয়ে নিউজ নিয়ে কোনো বাধা নেই।

গত সোমবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিষয়ে প্রচারিত পাবলিক ডোমেইনে থাকা ভুয়া ও মানহানিকর তথ্য অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

আবেদনে কাজী সালাউদ্দিনের মৌলিক অধিকার হিসেবে মর্যাদা ও গোপনীয়তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে (বিটিআরসি) কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং তার বিরুদ্ধে মানহানি ও যে কোনো ভুয়া তথ্য  তৈরি এবং প্রচার থেকে বিরত রাখতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

একইসঙ্গে ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং পলিসি ২০১৪ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিতে আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

এই রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় পাবলিক ডোমেইনে থাকা কাজী সালাউদ্দিনেকে নিয়ে করা মানহানিকর ও ভুয়া তথ্য অপসারণ করতে স্বরাষ্ট্রসচিব ও বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কাজী সালাউদ্দিনের বিষয়ে মানহানিকর ও ভুয়া তথ্য প্রচারে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন, একাত্তর টিভি, একাত্তর টিভির স্পোর্টস ইনচার্জ এহসান মাহমুদ, যুগান্তরের সিনিয়র স্পোর্টস জার্নালিস্ট মোজাম্মেল হক চঞ্চল, একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট মেহেদী নাইম, গ্লোবাল স্পোর্টসের সমন্বয়ক শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, নীলফামারী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি আরিফ হোসেন মুন, একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট পার্থ বণিক, একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট মাহমুদুল হাসান সজিব, একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট অর্ণব বাপ্পী, একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট এহতেশাম সবুজ, একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট মেহেদী হাসান, একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট ফাহিম হাসান, একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট রিয়াসাদ আজিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, একাত্তর টিভির স্পোর্টস জার্নালিস্ট কহিনুর কনাকে বিবাদী করা হয়।

আরও পড়ুন:
সালাউদ্দিনদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।