ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যা মামলায় ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি পুলিশ) দাখিল করা প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২০ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (১৯ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৫ জুন সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, তদন্তে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলেও এক্সেল সোহেল নামে এক আসামির পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাই তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। বাকি ৩৩ জন অভিযুক্ত করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ, ফ্রিডম মানিক, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সদস্য কাইল্যা পলাশ, একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ‘ঘাতক’ সোহেল, সুমন শিকদার মুসা, মুসার ভাগনে সৈকত, ভাতিজা শিকদার আকাশ, সন্ত্রাসী জিসান, ইমরান হোসেন জিতু, মোল্লা শামীম, রাকিব, বিডি বাবু, ওমর ফারুক, ‘কিলার’ নাসির, রিফাত, ইশতিয়াক হোসেন জিতু, মাহবুবুর রহমান টিটু, হাফিজ, মাসুম ও রানা মোল্লা।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনি কাঁচা বাজার সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী প্রীতি। এসময় টিপুর গাড়িচালকও গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
কেআই/এমএইচএস