ঢাকা: ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা মামলায় তামিমার মেয়ে রাফিয়া হাসান তুবাসহ দুইজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য দেওয়া আরেকজন হলেন রাকিবের মামা লুৎফর রহমান।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।
এদিন আসামি নাসির ও তামিমাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আসামিপক্ষ তাদের জেরা করেন। এর আগে ২০ মার্চ একই আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসানের জবানবন্দি নেওয়ার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। তবে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর একই বছর ৬ মার্চ মহানগর দায়রা জজ আদালতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন তাদের আইনজীবী কাজী নজিব্যুল্লাহ হিরু। এদিকে সুমি আক্তারকে দেওয়া অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
চলতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি আসামি ও বাদীর পক্ষে করা পৃথক দুটি রিভিশন আবেদন খারিজ করেন ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ। এরপর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জানেন।
অভিযোগ আরও করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলা অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনানুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির। তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছে। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৩
কেআই/এএটি