ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কিশোরীকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
কিশোরীকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন 

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় এক কিশোরীকে (১৩) অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে নূরুল আমিন নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত নূরুল আমিন কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন।  

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৭ এপ্রিল গয়ড়া গ্রামের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে নূরুল আমিন (২২) নামে এক যুবক। পরে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নূরুল আমিন একই সালের ২৮ অক্টোবর ওই কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা করে তার মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে কলারোয়া সীমান্তের হিজলদী চেকপোস্টের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।

এদিকে অপহরণের পরের দিন ৮ এপ্রিল ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নূরুল আমিনসহ তাকে সহযোগিতা করার অভিযোগে আব্দুল জলিল, খলিলুর রহমান, রুহুল আমিন, রিপন হোসেন ও খায়রুল ইসলামকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১০। তাং ০৮/০৪/২০১২।

পরে ওই কিশোরীকে হত্যা করা হলে কলারোয়া থানার তৎকালীন এসআই গোলাম সরোয়ার ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট সাতক্ষীরা আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দেন।

সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু জানান, মামলায় পুলিশের দেওয়া চার্জশিট ও আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৭ ধারায় নূরুল আমিনকে ১০ বছর ও একই আইনের ৯/২ ধারায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।