ঢাকা: সরকারি হওয়া সুনামগঞ্জ ও সিলেটের দুটি কলেজের ১৮ শিক্ষকের ৭ম গ্রেডে পাওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই ১৮ শিক্ষকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
রুলে সরকারিকরণকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি-৯ অনুযায়ী অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষকদের বেতন স্কেল বিদ্যমান জাতীয় বেতন স্কেলের সংশ্লিষ্ট গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে নির্ধারণ করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ৮ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, আবেদনকারীরা ২০১৮ সালে সরকারিকরণকৃত ২৯৮টি কলেজের মধ্যে সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ এবং শাল্লা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। তারা সরকারিকরণের পূর্বে নিয়োগ পেয়ে প্রভাষক পদে কর্মরত আছেন। এই শিক্ষকরা এমপিও নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগ পাওয়ার পর ৯ম গ্রেডে এমপিওভুক্ত হন। তারপর প্রভাষক পদে আট বছর পূর্তির পর একটি সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত হলে তাদের বেতন স্কেল ৯ম গ্রেড থেকে ৭ম গ্রেডে আপগ্রেড হয় এবং তারা ৭ম গ্রেডে বেতন/এমপিও ভোগ করতে থাকেন।
২০১৮ সালে সরকার ‘সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮’ জারি করেন এবং উক্ত বিধিমালার বিধি ৯ অনুযায়ী ‘অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীগণ, সংশ্লিষ্ট কলেজ সরকারিকরণের তারিখ হইতে, বিদ্যমান জাতীয় বেতন স্কেলের সংশ্লিষ্ট গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে স্ব-স্ব পদের বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হইবেন’।
সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তাদের কলেজ দুইটি সরকারিকরণ হয় এবং ২০২৩ সালে তাদের অস্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়, কিন্তু বিধি ৯ এর কারণে তাদের বেতনস্কেল ৭ম গ্রেড এর পরিবর্তে ৯ম গ্রেডে নির্ধারণ করা হয়, যার ফলে তারা বৈষম্যের শিকার হন এবং এখন কলেজ সরকারিকরণের পরে থেকে আবেদনকারীদের নেওয়া ৭ম গ্রেডে বেতন/এমপিও হিসাবে অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে আদেশ জারি করেন। বারবার বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো ফলাফল না পেয়ে প্রভাষক মো. ফরিদ আহমেদসহ ১৮ জন রিট করেন।
হাইকোর্ট রুল জারি করে সরকারিকরণের পরে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট থেকে ৭ম গ্রেডে বেতন বা এমপিও হিসাবে প্রভাষকদের নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ