ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ইউএনও’র মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা আদায়, যুবকের কারাদণ্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
ইউএনও’র মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা আদায়, যুবকের কারাদণ্ড আদালতের রায়: প্রতীকী ছবি

রাজশাহী: উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা আদায়ের দায়ে এক যুবককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত।  

পৃথক দুইটি ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

 

রায়ে জরিমানা করা হয়েছে দুই লাখ টাকা। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আরও দুইজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ওই যুবকের নাম রাকিবুল ইসলাম (২২)। তিনি রংপুরের লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মহিষামুড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

রায় ঘোষণার পর রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে থাকা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

তিনি বলেন, ২০২২ সালের জুলাই মাসে মামলার বাদী সামছুল ইসলামকে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ( ইউএনও) মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ফোন করেন রাকিবুল ইসলাম। তিনি এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ইউএনও সেজে তার কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন। সামছুল ইসলামকে এর কিছু দিন পর আবারও ফোন করেন রাকিবুল ইসলাম। তিনি এবার জানান, তার সঙ্গে আরও একজন সাবেক কাউন্সিলরকে উল্লেখিত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করতে দিতে চান।

এতে সামছুলের সন্দেহ হয় যে, তিনি ফাঁদে পড়েছেন। এরপর সরাসরি তিনি ইউএনওর কাছে যান। সেখানে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে তিনি বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানায় সাইবার সিকিউরিটি আইনে মামলা করেন।

পরে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা এ মামলা তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। তবে মামলা বিচার চলাকালে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত অন্য দুই আসামিকে খালাস দেন এবং অভিযুক্ত রাকিবুল হাসলামকে কারাদণ্ড দেন।  

অ্যাডভোকেট ইসমত আরা আরও জানান, আলাদা দুইটি ধারায় তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্য আরেকটি ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। আর দুই ধারায় সাজা দেওয়া এ কারাদণ্ড একটির মেয়াদ শেষের পর অন্যটি কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
এসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।