ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিচারকের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেওয়ার তারা কে, প্রশ্ন কামরুলের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
বিচারকের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেওয়ার তারা কে, প্রশ্ন কামরুলের কথা বলছেন আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম।

ঢাকা: পক্ষভুক্ত না হয়েও তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রিটে বিচারকের বিরুদ্ধে কীভাবে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অনাস্থা দেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম।

সামাজিকমাধ্যম থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য সরাতে সোমবার ( ২৮ আগস্ট) আদেশের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই রিটকারীর আইনজীবী এমন মন্তব্য করেন।

যিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক মন্ত্রী।

এর আগে সকালে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে অবিলম্বে ব্লক, অপসারণ বা সরিয়ে ফেলার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটি-বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির আইনজীবীরা হট্টগোল করলে বিচারকরা এজলাস ছেড়ে চলে যান।

পরে রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তারা অযাচিতভাবে কোর্টের কার্যকলাপকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন। তারা কোনোভাবে পার্টি নন (মামলায় পক্ষভুক্ত না)। তারা আজ ন্যক্কারজনক কাজ করেছেন। সেদিন তারা পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য একটি দরখাস্ত দিয়েছিলেন। সেটা খারিজ করা হয়েছে।

বিএনপির আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে কামরুল ইসলাম বলেন, তারা এই মামলায় কীভাবে কথা বলে? তারা কেন অহেতুক ডিস্টার্ব করে? খামাকা তারা আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন। আজকে আদালতে ন্যক্কারজনক কাজ করেছে। কজলিস্ট ছুড়ে মেরেছে। তারা এত উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছেন যে কারণে আদালত নেমে গেছেন।

কোনো অবস্থাতেই এটা শোভন না। এটা সম্পূর্ণ আদালত অবমাননার শামিল। তারা সবক্ষেত্রে অচলবস্থার সৃষ্টি করতে চায়। তারা তো এই মামলায় পার্টিই না। তাদের অথরিটি নেই। তারা প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা দেওয়ার কে? কোন যুক্তিতে কী হিসেবে? তারা অহেতুক যুক্তি দাঁড় করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।