ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসানকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ম্যাচ রেফারি শওকাতুর রহমান চিনুর নামে করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ আদেশ দেন।
একই দিন সকালে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন রকিবুল হাসান। এ সময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশের জন্য রাখেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আল মামুন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, রকিবুল হাসান একজন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সুধী (বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সিভিল অ্যাওয়ার্ড)। তাকে নিয়ে ‘মানবতা আজ কোথায়’ নামে একটি পেজে ভিডিওসহ একটি পোস্ট দেয়। পোস্টের হেডলাইন হলো- ‘চোর যখন নীতি বাক্য শুনায়’। এ ভিডিওটি সুব্রত চৌধুরী নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার করা হয়।
সেই পোস্টে কমেন্ট করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ম্যাচ রেফারি শওকাতুর রহমান চিনু। তিনি কমেন্টে বলেন- দাদা, এ লোকটার উত্থানের পেছনে তোমাদের অবদানই বেশি। উনি মুক্তিযোদ্ধা কখনও ছিলেন না! অথচ মিডিয়ার কল্যাণে ৫০ বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম??? কী বিচিত্র এ দেশ! সেলুকাস....)। এ কমেন্টটি করা হয় গত ১৫ আগস্ট। এমন মিথ্যা ও অসৌজন্যমূলক মন্তব্যে তার (রকিবুলের) ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে অর্জিত সুনামের ক্ষতি করা হয়েছে, যা মিথ্যা তথ্য ও মানহানিকর তথ্য প্রচার ও প্রকাশ বিধায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ২৯ ধারার অপরাধ।
এর আগে গত ২০ আগস্ট চিনুকে তার মন্তব্যটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার ও জনসমক্ষে তার (রকিবুল) কাছে ক্ষমা চাইতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন রকিবুল হাসান। নোটিশের অনুলিপি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও ও আম্পায়ারস কমিটির চেয়ারম্যানকেও পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
কেআই/আরবি