ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রায়ে সন্তুষ্ট নই, আপিল করব: আদিলুর

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
রায়ে সন্তুষ্ট নই, আপিল করব: আদিলুর ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: এক দশক আগে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সংঘর্ষে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের হওয়া মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানসহ দুইজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন বিচারক।

তবে এ রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন আদিলুর রহমান খান নিজেই। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রায় ঘোষণার পর বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের এজালাস থেকে পুলিশ বেস্টনীতে কারাগারে নেওয়ার সময় আদালতের করিডোরে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা জানান।

রায়ে সন্তুষ্ট কিনা গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট নই। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।

এর আগে দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ মামলার রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন অধিকারের পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলান।

রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে হাজির হন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২৪ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিনই আদালত রায়ের জন্য ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় রায়ের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করা হয়।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা চত্বরে সমাবেশে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার।  একই বছর ১০ জুন গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ডিবির উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম।

ওই বছরের ১০ জুলাই নিহতের তালিকা চেয়ে অধিকারকে চিঠি দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু সংগঠনটি তালিকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে ১০ আগস্ট গ্রেপ্তার হন অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমান খান। ওই বছরের ৯ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি আদিলুর।  

তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ৩২ জনকে সাক্ষী করে আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ওই বছর ১১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র আমলে পলাতক আসামি এলানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি মামলাটিতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। অভিযোগ গঠন সংক্রান্ত আদেশের পর উচ্চ আদালতে মামলা বাতিল চাইলে উচ্চ আদালতের আদেশে বিচারকাজ স্থগিত হয়ে যায়।

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্য শুরুর দুই বছরের ব্যবধানে বিচার শেষে মামলাটিতে রায়ের জন্য দিন ধার্য হয়।

আরও পড়ুন: অধিকার সম্পাদক আদিলুরের ২ বছরের কারাদণ্ড

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
এসসি/ কেআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।