বরিশাল: ধর্ষণের ১০ ও ১১ বছরের পর দুই ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বরিশালের আদালত। পাশাপাশি দুই দণ্ডিতকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন রায় দেন বলে জানিয়েছেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট ফয়েজুল হক ফয়েজ।
রায় ঘোষণার সময় দুই দণ্ডিত এজলাসে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির।
দণ্ডিতরা হলেন-বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আহতি বাটরা গ্রামের সুবীর হালদারের ছেলে রজত হালদার (৩৬) ও উজিরপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের মৃত আরজ আলী বালীর ছেলে আবুল হোসেন বালী (৪৫)।
পৃথক দুই মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির জানান, ২০১২ সালের ৫ জুন আহতী বাটরা গ্রামের বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে গরু তাড়াতে যায় ১১ বছর বয়সী শিশু কন্যা। ক্ষেতের পাশে থাকা রজত শিশু কন্যার মুখ চেপে ধরে পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে যান। সেখানে শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করেন রজত। শিশুকন্যার চিৎকারে তিন সহপাঠী শিশু কন্যার একজনের বাবা এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় শিশু কন্যা বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করে।
থানার এসআই ইদ্রিস আলী ২০১২ সালের ৪ আগস্ট রজতকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। বিচারক সাত জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দিয়েছেন।
অপরদিকে ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল উজিরপুরের নয় বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রীকে খাবারের প্রলোভন দিয়ে দোকানের পেছনে নিয়ে যান দণ্ডিত দোকানি আবুল হোসেন বালী। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় এক ক্রেতা এসে দোকানি আবুলকে না পেয়ে পেছনে গেলে, তিনি শিশুকে ধর্ষণ করতে দেখে মাদ্রাসায় গিয়ে জানিয়ে দেন। পরে মাদ্রাসার শিক্ষকরা গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। উজিরপুর মডেল থানার এসআই হুমাউন কবির একই বছরের ২৩ জুন আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বিচারক চার জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
এমএস/এসআইএস