ফরিদপুর: ফরিদপুরে এক নারীকে (২৬) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত দুই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ফরিদপুর সদরের মামুদপুর এলাকার আরজু মল্লিক (৩১) আদালতে উপস্থিত ছিল এবং অপরজন একই এলাকার সবুজ মিয়া (৩৬) পলাতক থাকায় তার অবর্তমানে এ রায় দেওয়া হয়।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর সোয়া ১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার কলার বাগান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত নারীর পরনে লাল রঙের সালোয়ার ও কালো রঙের বোরখা ছিল। তরুণীর গলায় কালো দাগ ছিল।
এলাকাবাসী মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পরে থানায় খবর দেয়। ওই নারীর পরিচয় প্রথমে জানা যায়নি। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল গফ্ফার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ওই দিনই ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত হোসেন তদন্ত করে জানতে পারেন এ নারীর বাড়ি চট্টগ্রামের পাঁচশাইল গ্রামে। পরে তিনি ফরিদপুরের মামুদপুর গ্রামের আরজু ও সবুজকে আসামি করে ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) স্বপন পাল জানান, এ মামলাটির তদন্ত কাজ পরিচালনার সময় দুই আসামিকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে সবুজ মিয়া জামিনে গিয়ে পলাতক হয়।
স্বপন পাল আরও বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। এ রায়ে দেশে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে এবং মানুষ আইনের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
এএটি