ঢাকা: পুলিশ হত্যা ও নাশকতার ঘটনায় ঢাকার বিভিন্ন থানা থেকে গ্রেপ্তার বিএনপি ও জামায়াতের ৬৫৬ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিন সকাল থেকেই প্রিজনভ্যানে করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আদালতে আনা শুরু হয়, যা শেষ হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হাজিরের মধ্য দিয়ে।
রোববার ঢাকা মহানগরের ৫০টি থানা থেকে সিএমএম আদালতে মোট ৫৫৯ নেতাকর্মীকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। যার মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও রয়েছেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অপরদিকে ঢাকা মহানগরের বাইরে ৬টি থানা থেকে এদিন ৯৭ নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পল্টন থানার এক মামলায় ঢাকার প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছোট ছেলে ইশফাক হোসেনসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিন তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া অন্যরা হলেন- রাজবাড়ী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, জহির হাসান, মফিজ, বাবুল ও আজিম উদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডাকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এরপর রোববার (২৯ অক্টোবর) হরতালের ডাক দেয় বিএনপি।
২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি উন্নয়ন ও সমাবেশ করে। একই দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ অন্য নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় সমাবেশ করে উচ্চ আদালতের আদেশে নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামী। তারাও রোববার হরতাল পালন করে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
কেআই/আরএইচ