ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বগুড়ায় হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, সাতজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২৩
বগুড়ায় হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, সাতজনের যাবজ্জীবন

বগুড়া: বগুড়ায় শ্রমিক আল আমিন (১৭) হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় সব আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের সাজা ভোগের আদেশ দেওয়া হয়৷

বুধবার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল।



ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বগুড়া সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কুটুরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ফরিদ শেখ। এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামিরা হলেন, কুটুরবাড়ি এলাকার ইয়াকুব শেখ, সোহাগ শেখ, মঞ্জু শেখ, নয়ন শেখ, মাসুম শেখ, আব্দুর রাজ্জাক শেখ এবং খোরশেদ৷

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসিমুল করিম হলি জানান, জায়গা-জমি নিয়ে কুটুরবাড়ি গ্রামের ইয়াকুব আলী ও বাদশা শেখের পরিবারের মধ্যে পূর্ব-বিরোধ ছিল। ২০১৯ সালের ১৯ জুন ইয়াকুব আলীর একটি ছাগল বাদশা মিয়ার বাড়িতে রান্না করা ভাত খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। পরদিন বেলা দেড়টার দিকে বাড়ির পাশে শিশুদের ফুটবল খেলা দেখছিলেন বাদশা শেখের ভাই রফিকুল ইসলাম। এ সময় ইয়াকুবের পরিবারের পক্ষে মোহাম্মদ নয়ন নামের এক যুবক রফিকুলকে মারধর করেন। খবর পেয়ে রফিকুলের পরিবারের সদস্যরা ইয়াকুব আলীর পরিবারের কাছে নালিশ নিয়ে যান।

তিনি জানান, এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে বাদশা শেখের ছেলে আল আমিনের পাঁজরে বল্লম ঢুকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ ইয়াকুব আলীর পরিবারের লোকজনরা। এতে আল আমিন মারা যান। পরে আল আমিনের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সিআইডি ২০২০ সালের ৩০ জুলাই ১১ জনকে আসামি করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সব কার্যক্রম শেষে আদালত ১১ জনের মধ্যে একজনের ফাঁসি, সাতজনের যাবজ্জীবন এবং তিনজনকে খালাস প্রদান করে রায় ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, রায় ঘোষণার সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২৩
কেইউএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।