ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় স্ত্রী ও সন্তান হত্যার দায়ে সুজন হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মতিন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সুজন শৈলকূপা উপজেলার দোহা নাগিরহাট গ্রামের বিশে হোসেনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শৈলকূপা উপজেলার নোন্দীর গাতী গ্রামের মৃত আহম্মদ বিশ্বাসের মেয়ে ইয়াসমিন খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার সুজন হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। আসামি সুজন অন্য নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে স্ত্রী ওপর নির্যাতন করে আসছিল। এরপর ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সুজন তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে যান। কিন্তু বেশ কয়েকদিন তাদের অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায় না।
এ ঘটনায় ইয়াসমিনের মা সালেহা বেগম বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ ২০১৬ সালের ২২ মার্চ আদালতে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে শৈলকূপা থানাকে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে সুজন ফরিদপুর উপজেলার সদরপুর থানায় পালিয়ে রয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। তিনি জানান, তার স্ত্রী ও সন্তানকে ফরিদপুর জেলার পদ্মনদীর চরে গলায় ফাঁস ও গলা টিপে হত্যা করে বালু চাপা দেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৩
এসএম