ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পেটে সাত কেজির সোনার বল, চারজন রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
পেটে সাত কেজির সোনার বল, চারজন রিমান্ডে

ঢাকা: ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৃথক ফ্লাইটে দুবাই থেকে আসা চারজনের কাছ থেকে প্রায় সাত কেজি ওজনের টেপ দিয়ে পেঁচানো ডিম্বাকৃতির সোনার বলসহ গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে একজনের দুদিন ও তিনজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (০৩ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া এই চারজন হলেন—আলী হোসেন, জসীম উদ্দিন, লিটু মিয়া ও জুম্মন খান। এর মধ্যে আলী হোসেনের দুই দিন ও অপর তিনজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এর আগে তাদের আদালতে হাজির করে বিমানবন্দর থানার মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক সফিকুল ইসলাম।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে ও শনিবার ভোরের দিকে পৃথকভাবে তাদের গ্রেপ্তারের পর শনিবার চারজনের মধ্যে তিনজন প্রাকৃতিক উপায়ে সেই ‘ডিম’ বের করে দেন। একজনকে হাসপাতালে নিয়ে পেট থেকে সোনার বল বের করতে হয়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে কিছু স্বর্ণালঙ্কারও উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা ছয় কেজি ৯৫৬ গ্রাম সোনার দাম প্রায় সাত কোটি টাকা।

শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে অবতরণ করা এমিরেটসের ফ্লাইটে ঢাকায় নামেন যাত্রী জসীম উদ্দিন, লিটু মিয়া ও জুম্মন খান। এরপর ভোর ৫টায় ইউএস-বাংলার আরেকটি ফ্লাইটে নামেন আলী হোসেন। বিমানবন্দরে নামার পর তাদের নজরদারি করে একটি গোয়েন্দা সংস্থা, কাস্টমস ও এপিবিএন’র কর্মকর্তারা।

পরে তাদের আটক করে জানতে চাওয়া হয়, তাদের কাছে শুল্কযোগ্য কোনো পণ্য আছে কি না। তারা অস্বীকার করলে তল্লাশি করেও কিছু পাওয়া যায়নি। পরে উত্তরার হলি ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে এক্সরে করলে পেটের ভেতর ডিম্বাকৃতির বস্তুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

এ সময় তাদের বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনা হলে তিনজন প্রাকৃতিক কর্মের মাধ্যমে ডিম্বাকৃতির স্বর্ণের পেস্ট বের করে দেন। আরেকজনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকের সহায়তায় বল বের করা হয়।

আসামিদের মধ্যে আলী হোসেনের পেট থেকে ৮৮০ গ্রাম ওজনের ডিম্বাকৃতির তিনটি ও একটি সোনার বার (বিস্কুট) এবং অলংকারসহ মোট ১ কেজি ৯৪ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। জসীম উদ্দিনের কাছ থেকে প্রায় দুই কেজি ওজনের ৯টি ডিম্বাকৃতির সোনার বল, একটি গোল্ডবার ও অলংকারসহ মোট ২ কেজি ১৬৪ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। জুম্মন খানের কাছে দেড় কেজি ও লিটু মিয়ার কাছে আরও দুই কেজি ১৬৪ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। পরে তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।