ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৬ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৬ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

ঢাকা: রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৬ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই রায় দেন।

আসামিরা হলেন—আব্দুর রশিদ, শামসুল আলম বাবুল, প্রিন্সিপাল মো. লিয়াকত আলী, মো. পারভেজ, রমিজ উদ্দিন রমু, মিয়াজ উদ্দিন, এহসানুল হক বাবু ওরফে নুরুল আফসার বাবু, তারেকুল রাজ্জাক, নাজির উদ্দিন ওরফে দারোগা আলী, সফুর উদ্দিন ওরফে সফু, জাহিদ হাসান খান রনি, তোফাজ্জল হোসেন বাবু, আবুল হোসেন, মাঈনুল ইসলাম অমি, মো. আরিফুল ইসলাম তুহিন, তাসলিমা আক্তার ভূঁইয়া বেবী, মো. জিন্নাত আলী, মো. শাহজালাল শেখ সুমন, মো. ছাইফুল ইসলাম, মো. কবির, মো. সাদ্দাম হোসেন রাব্বি, মোমিনুল হক অপু, মো. মোশারফ হোসেন, মো. হেলাল উদ্দিন হেলু।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে খালাস দেন আদালত। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন—মোস্তফা মিন্টু, শহিদুল ইসলাম ওরফে মিঠু, দিদার, রাজীব হোসেন।

দণ্ডিতদের মধ্যে আব্দুর রশিদ, প্রিন্সিপাল মো. লিয়াকত আলী, মো. পারভেজ, তারেকুল রাজ্জাক ওরফে তারেক, সফুর উদ্দিন ও সফু, জাহিদ হাসান খান রনি, তোফাজ্জল হোসেন বাবু, মাঈনুল ইসলাম ওরফে অমি, মো. আরিফুল ইসলাম তুহিন, মো. জিন্নাত আলী, মো. শাহজালাল শেখ সুমন, মো. সাদ্দাম হোসেন রাব্বি ও মোমিনুল হক অপুসহ ১৪ জনকে দণ্ডিবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাস এবং দণ্ডবিধির ৩৩২ ও ৩৫৩ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপরদিকে বাকি সাত আসামিদের দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাস এবং দণ্ডিবধির ৩৩২ ও ৩৫৩ ধারায় এক বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

এছাড়া নারী বিবেচনায় তাসলিমা আক্তার বেবিসহ ৬ জনকে দণ্ডিবিধির ৩৪৩, ৩৩২ও ৩৫৩ ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  

এ মামলায় কবির নামের এক আসামি কারাগারে রয়েছেন। তাকে বুধবার কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বাকি আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৩০ জন আসমির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এরপরে পুলিশ তদন্ত শেষে ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্র দাখিলের পরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক ২৬ আসামির বিরুদ্ধে এই মামলার রায় ঘোষণা করলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।