রাজশাহী: জেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে সামিউল ইসলাম সোহান (৩২) নামে অভিযুক্ত যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এছাড়াও পৃথক একটি ধারায় তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত সামিউল রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বসন্তকেদার গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নাসরিন আখতার মিতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি সামিউল ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর সকালে নিজ এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ভিকটিমের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সোহান পালিয়ে যান। এরপর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় স্বজনরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচার শুরু হলে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ (মঙ্গলবার) মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায়ে আদালত আসামি সোহানকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই আইনের আরেকটি ধারায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে দুইটি ধারার সাজাই একসঙ্গে চলবে। এছাড়া মামলার অপর আসামি শাহরিয়ার হোসেন জয়, হারুন অর রশিদ শিশির, সেতারা বেগম এবং আকিলুজ্জামান রাফির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
এসএস/এফআর