ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সেই কয়েছ চৌধুরীকে এক বছরের জেল

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
সেই কয়েছ চৌধুরীকে এক বছরের জেল

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আহ্বায়ক ও জেলা নাট্য পরিষদ (জেনাপ) সভাপতি নাট্যকার কবি আব্দুল মতিনের দায়ের করা মামলায় বিবাদী কয়েছ চৌধুরীকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  একইসঙ্গে চেকে উল্লেখ করা টাকার দ্বিগুণ পরিশোধ করার নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছেন মৌলভীবাজারের দ্বিতীয় যুগ্ম জজ আদালতের বিচারক মো. জিয়াদুর রহমান।

 

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলার বাদী আব্দুল মতিন ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ময়নুর রহমান মগনু চলতি মাসের বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান। কয়েছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে চেক ডিজঅনারের মামলাটি করেছিলেন বাদী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল মতিন।

এর আগে ওই মামলাকে কেন্দ্র করে গত মাসের ২৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সাইফুর রহমান সড়কের ওয়েস্টার্ন প্লাজার সামনে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা কয়েছ চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েক যুবক কবি ও নাট্যকার আব্দুল মতিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় শহরজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নিন্দার ঝড় উঠে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনের নানা মহল থেকে। সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পরদিন শহরের চৌমোহনা চত্বরে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রতিবাদ সভা থেকে কয়েছ চৌধুরীসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয়।

এ বিষয়ে আব্দুল মতিন বলেন, আমার সঙ্গে তার আক্রোশ হলো তিনি আমাকে ছয় লাখ টাকার চেক দিয়েছেন। কিন্তু এখন তিনি আমার পাওনা টাকা দিচ্ছেন না। তারপর আমি প্রথমে উকিল নোটিশ পাঠাই। তাও কাজ না হওয়ায় আমি আমার আইনজীবীর মাধ্যমে চেক ডিজঅনারের মামলা করি। আসামি কয়েছ চৌধুরী জানতে পারেন চলতি মাসের ১ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ ৫ বছর পর ওই মামলার রায় হতে যাচ্ছে এবং মামলার রায় আমার পক্ষে থাকবে এমন ধারণা থেকে। তিনি রায়ের তিনদিন আগে দুপুরে প্রকাশ্যে আমার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় গাড়ির নিচে ধাক্কা মেরে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করা হয়।  

তিনি বলেন, মামলাকে কেন্দ্র করে কয়েছ চৌধুরী নানা কুট-কৌশলসহ আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেন।

আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আব্দুল মতিন আরও বলেন, আদালতের কাছে আমি সুবিচার পেয়েছি। এখন আসামিকে আইনের আওতায় সাজা দেওয়ার মাধ্যমে আশা করি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।  

মামলার রায়ের বিষয়ে আইনজীবী ময়নুর রহমান মগনুর বলেন, আমি মনে করি এ রায়টি একটি ঐতিহাসিক রায়। ২০১৯ সালে আমার বাদী আব্দুল মতিন চেক ডিজঅনারের ওই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ১ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজারের ২য় যুগ্ম জজ আদালত রায় প্রকাশ করেছেন। আমরা আইনি লাড়াইয়ে সুবিচার পেয়েছি। বিবাদী বিভিন্ন সময় আমার বাদীকে হুমকি দেন। রায়কে কেন্দ্র করে হামলাও চালায়, আমরা তার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনে অভিযোগ দিয়েছি।

তবে তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না কয়েছ চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
বিবিবি/এএটি                    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।