ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজের আগুনে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসানসহ চারজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অন্যরা হলেন—চুমুক রেস্টুরেন্টের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল।
গত ২ মার্চ এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে সোমবার তাদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনসারি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মঙ্গলবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ মার্চ রাতে হত্যাচেষ্টা ও অহবেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা করেন। ওই দিনই ভবনটির নিচতলার চুমুক রেস্টুরেন্টের (ছোট রেস্টুরেন্ট) দুজন মালিক আনোয়ারুল হক, শাকিল আহমেদ রিমন, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। পরদিন ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলকে গ্রেপ্তার করে রমনা থানা পুলিশ।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে লাগা আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ওই রাতেই আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এখন ঢাকা মেডিকেলে আর কেউ ভর্তি নেই। আহত ১১ জনের সবার চিকিৎসা চলছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৪
কেআই/এমজেএফ