ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা দেওয়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ৯ জুলাই দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ এবং এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হন। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
এরপর ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জে মোটরযান অর্ডিন্যান্সের ১২৮ ধারায় বাস মালিক, চালক ও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে দু’টি মামলা করেন।
সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে এ দু’টি মামলা হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়।
তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ এবং মিশুক মুনীরের স্ত্রী কানিজ এফ কাজী ও ছেলে সুহৃদ মুনীর দু’টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এ রুলের শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর দুই আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।
২০১৬ সালের ১৩ মার্চ হাইকোর্টে এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। সাক্ষ্যে তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ মোট ৭ কোটি ৭৬ লাখ ২৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা বলেন।
আদালতে ক্যাথরিন মাসুদের পক্ষে সাতজন, বাস মালিক সমিতির পক্ষে পাঁচজন ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর মধ্যে তারেক মাসুদের মামলার রায় ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ ঘোষণা করেন।
ওই রায়ে বলা হয়, যারা এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য দায়ী, তাদের এখন ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা দিতে হবে তারেক মাসুদের পরিবারকে। গাড়ির চালক দেবেন ৩০ লাখ, তৃতীয়পক্ষের ক্ষতির জন্য ইন্স্যুরেন্স মালিককে (রিলায়েন্স ইন্সুরেন্স) দিতে হবে ৮০ হাজার টাকা এবং বাদ বাকি টাকা দেবেন বাস মালিকরা। এ টাকা দিতে হবে ছয় মাসের মধ্যে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুই পক্ষই। অপরটি মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২৪
ইএস/এমএম