ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট

ঢাকা: নরসিংদীর মাধবদীর এক ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার নিদর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামি দুজন হলেন, নরসিংদীর মাধবধীর দীঘিরপাড় গ্রামের মো. কামালের ছেলে মেহেদী (২০) ও একই গ্রামের আ. গাফফারের ছেলে সুজন (২১)।

পরে তাদের পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

দুই আসামির আগাম জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রওশন আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে আমিন উদ্দিন  মানিক বলেন, দুই আসামি বয়সে কিশোর। কিন্তু ভুক্তোভোগীর জবানবন্দি বিবেচনায় নিয়ে আদালত আসামিদের জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামিরা ভুক্তোভোগীর প্রতিবেশী। গত বছর ৭ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ছোটো বোনকে খুঁজতে প্রতিবেশী সুজনদের বাড়ি যায় ভুক্তোভোগী। তখন সুজন ভুক্তোভোগীকে বলে তার ছোটো বোন ঘরে আছে। ছোটো বোনকে আনতে ভুক্তোভোগী সুজনদের ঘরে ঢুকতেই আগে থেকে ওই ঘরে থাকা মেহেদী ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে সুজনও ঘরে ঢুকে পালাক্রমে ভুক্তোভোগীকে ধর্ষণ করে।

আসামিরা মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেহেদী ও সুজন এরপর আরও পাঁচ-ছয়বার ধর্ষণ করে।

চলতি বছর ১৫ মার্চ ভুক্তোভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেডিকেল পরীক্ষায় ধরা পড়ে ভুক্তোভোগী অন্তঃসত্ত্বা। পরে গত ৫ এপ্রিল মেহেদী ও সুমনসহ ৬ জনকে আসামি করে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ভুক্তোবোগীর বাবা। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(৩) ধারায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

এ মামলায় আগাম জামিন আবেদন করতে দুই আসামি হাইকোর্টে এসেছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।