ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নওগাঁয় মা-ছেলে হত্যার দায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৪
নওগাঁয় মা-ছেলে হত্যার দায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড 

নওগাঁ: নওগাঁয় এক নারী ও তার ছেলেকে হত্যার দায়ে সুমন সরকার ওরফে টিটু (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মোখলেছুর রহমান এ রায় দেন।  

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন সরকার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তুলারামপুর এলাকার বাসিন্দা। রায়ের সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।  

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে একটি ব্যাংককের নওগাঁ শাখার ব্যবস্থাপক জয়ন্ত কুমার সরকারের স্ত্রী নিতা সরকার (৩৩) ও ছেলে জয়তু সরকার (৬) নওগাঁ শহরের উকিলপাড়ার ভাড়া বাসায় খুন হন। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার নওগাঁ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে সুমন সরকারকে ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষ্মণপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সুমন হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতের কাছে জবানবন্দি দেন। সুমন জবানবন্দিতে বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকারের কাছে টাকা দাবি করে না পেয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করেছেন। নওগাঁয় হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর সুমন কুমিল্লায় আশ্রয় নেন। সেখানে মাদক কেনা-বেচায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৫ জুন সুমন সরকারকে একমাত্র আসামি করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ড বিধির ৩০২ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয়পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে ৩০২ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় সুমনকে এ সাজা দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি সামসুর রহমান।  

আসামিপক্ষের আইনজীবী শুভ্র সাহা জানান, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।