সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই ভাগ্নেকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে মামাসহ তিনজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশে দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এম আলী আহমেদ এই দণ্ড দেন।
ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হলেন- চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মাস্টারের ছেলে শহিদুল ইসলাম সাচ্চা (৫০) ও নাছির উদ্দিন (৪০) এবং একই গ্রামের মৃত সমেশ আলীর ছেলে ইসরাফিল হোসেন (৬৫)। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশিদুল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মিল্টন হোসেনের সঙ্গে তারই চাচাতো মামা শহিদুল ইসলাম সাচ্চার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ অবস্থায় মিল্টনের জমির ওপর দিয়ে শহিদুল ইসলাম সাচ্চা পানি সেচের ড্রেন তৈরি করার চেষ্টা করলে মিল্টনের বাবা আন্তাব আলী বাধা দেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বিকেলে শহিদুল ইসলাম সাচ্চাসহ তাদের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আন্তাব আলীর বাড়িতে হামলা করে। এ সময় ঘরে আন্তাব আলীর ছোট ছেলে কাউসার মোবাইলে ভিডিও করে। একপর্যায়ে কাউসারের বাবা আন্তাব আলী ও বড় ভাই মিল্টন হোসেন বাড়িতে এলে কাউসার নিজেও ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। এ সময় শহিদুল ইসলাম সাচ্চা ও তার লোকজন বলে আজ তোদের রক্ত দিয়ে গোসল করবো। এই বলে তাদের ওপর হামলা করে। এতে কাউছার ও মিল্টনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওইদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে কাউছার ও মিল্টন মারা যায়।
পরের দিন নিহতদের মা হায়াতুন নেছা বাদী হয়ে চৌহালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন। পরে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৪
আরএ