খুলনা: খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ১৬ কর্মকর্তা ও সাবেক দুই এমপিসহ ৮৬ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, কেএমপির তৎকালীন অ্যাডিশনাল কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম (বর্তমানে সরকারের আদেশে বর্তমানে বাধ্যতামূলক অবসরে) তৎকালীন ডিসি (নর্থ) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিসি (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, তৎকালীন এসি সোনালী সেন, তৎকালীন এডিসি (সিটিএসবি) মনিরা খাতুন, তৎকালীন এসি ভাস্কর সাহা, তৎকালীন ডিবির ওসি মিজান, তৎকালীন এসআই শওকত (ডিবি), তৎকালীন কনস্টেবল সানা মিয়া (ডিবি), খালিশপুর থানার তৎকালীন ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন এসআই মিঠু দত্ত, তৎকালীন এএসআই সঞ্জয়, এএসআই কুমারেশ, তৎকালীন এসআই সেলিম হোসেন (ডিবি), তৎকালীন এসআই রত্নেশ্বর মণ্ডল, তৎকালীন এসআই অরূপ কুমার মণ্ডল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি এস এম কামাল হোসেন, সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মনুজান সুফিয়ান, কেসিসির ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আমিনুল ইসলাম মুন্না ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শফিউল্লাহসহ ৮৬ জন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন বাদী হয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আল আমিন মামলাটি আমলে নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী একেএম শহিদুল আলম শহিদ বলেন, ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল প্রচারণা শেষে তার বাড়ি যান। সেখান পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের লোকজন গাড়ি ভাঙচুর, গুলি বর্ষণ করেন। পুলিশ তাদের প্রত্যক্ষ মদদ দেন। এ কারণে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
এমআরএম/এএটি