ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় উত্তরা, মিরপুর বাড্ডা ও ময়মনসিংহে ৬ ছাত্র হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) পৃথকভাবে নিহতদের বাবা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নতুন এ পাঁচ অভিযোগসহ মোট ১৯টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়।
যাদের হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হলো-
আজমপুর: গত ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় উত্তরা আজমপুর ফুটওভার ব্রিজের পূর্ব পাশে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সামিউ আমান নুরকে (১৩) গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগটি দায়ের করেন তার বাবা মোহাম্মদ আমানুল্লাহ।
আব্দুল্লাহপুর: গত ১৯ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে উত্তরা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফয়সাল সরকারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ অজ্ঞাত আসামি করে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগটি দায়ের করেন তার বাবা শফিকুল ইসলাম সরকার।
মিরপুর: গত ১৯ জুলাই বিকেল তিনটায় মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্র শহীদ মাহফুজুর রহমানকে (১৫) গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭৬ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা আব্দুল মান্নান।
বাড্ডা: গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাড্ডা ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র মো. মারুফ হোসেনকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। এ অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগটি দায়ের করেন নিহতের বাবা মো. ইদ্রিস।
ময়মনসিংহ: গত ২০ জুলাই বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর কলেজ ছাত্র নুরে আলম সিদ্দিকী রাকিব ও জুবায়েরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৬৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়ের করেন নুরের বাবা আব্দুল হালিম ও জুবায়েরের বাবা আনোয়ার উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
ইএস/এমজে