ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শর্ত মানলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ২৪ প্লট বরাদ্দ বহাল থাকবে: হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
শর্ত মানলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ২৪ প্লট বরাদ্দ বহাল থাকবে: হাইকোর্ট

ঢাকা: যে শর্ত মেনে প্লট বরাদ্দ নেওয়া হয়েছিল তা পালন করলে রাজধানীর হাতিরঝিলে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ২০০৩ সালে দেওয়া ২৪ প্লটের বরাদ্দ বহাল থাকবে বলে রায় দিয়েছেন আদালত। এ জায়গাগুলো মিডিয়া প্লট নামে পরিচিত।

২০১২ সালে উচ্চ আদালতের স্বতপ্রণোদিতভাবে রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রায় দেন বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রায়ের পর ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী বলেন, রায়ে রুল নিষ্পত্তি করেছেন। যারা প্লট পেয়েছিলেন তারা যদি শর্ত মেনে থাকেন, তাহলে প্লট বরাদ্দ বহাল থাকবে। অর্থাৎ যে উদ্দেশ্যে প্লট নেওয়া হয়েছিল সেই উদ্দেশ্যে যদি প্লটগুলো ব্যবহার করা হয় তাহলে বহাল থাকবে।

এক সময় (২০১২ সালে) এ মামলার শুনানিতে শফিক রেহমানের মতো সিনিয়র সাংবাদিককে দীর্ঘক্ষণ আদালতে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

এ রুলে ২০২১ সালে হাইকোর্টে পক্ষভুক্ত হয়েছিল মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

তখন এইচআরপিবির সভাপতি মনজিল মোরসেদ জানিয়েছিলেন, ২০১০ সালে ‘সড়ক প্রকল্প রাতারাতি হয়ে গেল শিল্প প্লট’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে বলা হয়, টেন্ডার ছাড়া স্বল্পমূল্যে ২৪টি প্লট ২০০৩ সালে পূর্ত মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিয়েছে, সে পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১২ সালে স্বতপ্রণোদিতভাবে রুল জারি করেন। রুলে বরাদ্দপত্র কেন বাতিল করা হবে না এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

এছাড়া একটি কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাটি রুল শুনানির জন্য উত্থাপিত হলে এইআরপিবি পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন করে। আদালত ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আবেদনটি মঞ্জুর না করে নথিভুক্ত করেন। এ আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে এইচআরপিবি আপিল বিভাগে আবেদন করে। এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে পক্ষভুক্তির আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন। সেই অনুসারে পক্ষভুক্ত হয় এইচআরপিবি।

এরপর হাইকোর্টে এ রুল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
ইএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।