ঢাকা: ‘বিতর্কিত লিখিত পরীক্ষা’ বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। রোববার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষানবিশ আইনজীবীর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো-
আইনজীবী তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বিতর্কিত লিখিত পরীক্ষা পদ্ধতি চিরতরে বাতিল করে শুধুমাত্র এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা হিসেবে সৌজন্য সাক্ষাৎকার নিয়ে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তি দিতে হবে।
ফলাফলে সংক্ষুব্ধ পক্ষের রিভিউয়ের সুযোগসহ যৌক্তিক ফি ধার্য করে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় ৪০ নম্বর পেলে পাস দিতে হবে এবং ভুল উত্তরের জন্য কোনো নেগেটিভ মার্ক কাটা যাবে না।
আইনজীবী তালিকাভুক্তি পদ্ধতির যেকোনো পরীক্ষায় একবার উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষানবিশকে আর কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে না- এ নিয়ম কার্যকর করতে হবে।
বার কাউন্সিল থেকে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের কর্তৃত্ব প্রত্যাহার করতেই হবে। এবং এসব সংস্কার পদ্ধতিতে প্রতি বছর দুইবার আইনজীবী তালিকাভুক্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষানবিশ আইনজীবী সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক চৌধুরী হৃদয় বলেন, আমরা শিক্ষানবিশ আইনজীবী হওয়ার কারণে কোর্টে গেলে আমাদের কোনো সম্মান দেওয়া হয় না। আমাদের চেয়ে একজন মুহুরিকে আরও বেশি সম্মান দেওয়া হয়।
এ সময় আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও আইন শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক বা দাপ্তরিক ঘোষণা ও কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনের মতো কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষানবিশ আইনজীবী সংগঠনের সহ-সমন্বয়ক এ কে এন মাহমুদ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ, আব্দুল গোফরান, ইউনুস মল্লিক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
এসসি/আরএইচ