ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ পৌষ ১৪৩১, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২ রজব ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এক্সপ্রেস ওয়েতে দুর্ঘটনা

নিহতদের পরিবারকে কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
নিহতদের পরিবারকে কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ 

ঢাকা: ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মর্মান্তিক দুর্ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উল্লেখ করে মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট্রের পক্ষে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকে ইমেইল যোগে নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ  হুমায়ন কবির পল্লব।

গত ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের টোল প্লাজায় অপেক্ষমাণ যানবাহনকে বেপারী পরিবহনের একটি বাস অতর্কিত আঘাত করায় ছয় জন নিহত হন।  

নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মানুষের জীবনধারণের অধিকার অন্যতম একটি মৌলিক অধিকার। বাস মালিক, ড্রাইভার, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং হাইওয়ে পুলিশের চরম অবহেলার কারণেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এসব মৃত্যু ঘটেছে।  

প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, ব্যাপারী পরিবহনের বাসটির ফিটনেস সনদ ছিল না। ড্রাইভারের লাইসেন্সের মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়া ড্রাইভার স্বীকার করেছেন তিনি ক্যানাবিস নামক মাদক সেবন করতেন। কাজেই এটি স্পষ্ট যে, বাসের ফিটনেস এবং ড্রাইভারের লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতির কারণে ছয় জন মানুষের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। বাসের ফিটনেস সনদ উত্তীর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল বাসের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা এবং সংশ্লিষ্টদেরকে অবহিত করা। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব ছিল বাসটির ফিটনেস আছে কি-না সেটি পরীক্ষা করা এবং সংশ্লিষ্ট ড্রাইভারের বৈধ লাইসেন্স আছে কি-না সেটাও নিরীক্ষা করা।  

অন্যদিকে বাসের মালিক ফিটনেস বিহীন বাস রাস্তায় নামিয়ে এবং বৈধ লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভারকে দিয়ে বাস চালিয়ে চরম বেআইনি এবং অবহেলা করেছেন। কাজেই সকলের পারস্পরিক অবহেলার প্রতিফল এই দুর্ঘটনা যার কারণে ছয় জন ব্যক্তি নিহত হলেন। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা তাদের একান্ত কর্তব্য ছিল।  

পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি স্পষ্ট যে, সংশ্লিষ্টদের চরম অবহেলার কারণেই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাদের অবহেলায় সংঘটিত দুর্ঘটনার কারণেই মৃত ব্যক্তিগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলেন। ফলে তাদের পরিবার সারা জীবনের জন্যই বঞ্চিত হলো। কাজেই তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা করে পাওয়ার হকদার।  

ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফিটনেস বিহীন সকল যানবাহনের তালিকা তৈরি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে গৃহীত অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঁচ দিনের মধ্যে নোটিশ দাতাকে জানাতে অনুরোধ করেছেন।  

নোটিশ গ্রহীতারা ক্ষতিপূরণ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরবর্তী আইনি  পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
ইএস/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।