ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হাইকোর্টের ভুয়া সনদধারী আইনজীবী রিমান্ডে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৬
হাইকোর্টের ভুয়া সনদধারী আইনজীবী রিমান্ডে ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: সনদ ছাড়াই ২৭ বছর হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করা আইনজীবী এসএম শহিদ উল্ল্যাহ’র একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।   সোমবার (০৪ জানুয়ারি)বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খুরশিদ আলম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।



রোববার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার করে। সোমবার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়।

অন্য আইনজীবীর সনদের আইডি ব্যবহার করে প্র্যাকটিস করায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় মামলা করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সনদ না থাকলেও অন্য এক আইনজীবীর পরিচয়পত্র নম্বর (আইডি) ব্যবহার করে ২৭ বছর ধরে প্র্যাকটিস করে আসছিলেন তিনি। তিনি হাইকোর্টে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মামলা পরিচালনা করেছেন।

জানা গেছে, ১৯৮১ সালে খুলনা জেলা বারে প্র্যাকটিস করতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদ পেয়ে আইন পেশা শুরু করেন এসএম শহিদ উল্ল্যাহ। ১৯৮৭ সাল থেকে আইনজীবী মো. শহিদ উল্ল্যাহ’র ২১৯৭ নম্বরের পরিচয়পত্র (আইডি) ব্যবহার করে হাইকোর্টে কাজ করছেন তিনি।

২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পারভীন আক্তার নামের একজন নারী সদস্য নিজের প্রার্থী মনোনয়নপত্রে সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য এসএম শহিদ উল্ল্যাহ’র কাছে যান। কিন্তু শহিদ উল্ল্যাহ পারভীনের সেই মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করেন। অনুরোধের এক পর্যায়ে   মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করলেও আইনজীবী হিসেবে তার আইডি নম্বর উল্লেখ করতে অস্বীকার করেন এ আইনজীবী।

পরে তিনি স্বাক্ষরসহ আইডি উল্লেখ করেন। তবে এসএম শহিদ উল্ল্যাহ’র দেওয়া সেই আইডি নম্বর সঠিক নয় বলে প্রমাণিত হওয়ায় পারভীনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। পরে পারভীন মূল আইডি নম্বরধারী আইনজীবী মো. শহিদ উল্ল্যাহকে খুঁজে বের করেন। এ বিষয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কাছে লিখিত আবেদন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।