ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে সতর্ক করে ক্ষমা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে সতর্ক করে ক্ষমা ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: স্কাইপি সংলাপে বিচারপতিদের সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। তাকে সতর্ক করে ক্ষমা করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

ভবিষ্যতে সংশোধিত হওয়ার জন্য এই ক্ষমা পেয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর এই আইনজীবী।

চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সোমবার (১১ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।

সাকা চৌধুরীর মামলার রায়ের খসড়া ফাঁস করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল। সম্প্রতি হাইকোর্টের জামিনে মুক্ত হয়ে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

২০১৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিচারিক বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে কারণ দর্শাও (শো’কজ) নোটিশ জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল-১ এর পদত্যাগী চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের কথিত স্কাইপি সংলাপের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের অপর দুই বিচারপতির সংশ্লিষ্টতা ছিল কি-না, কিংবা তারাও এ ধরনের সংলাপ করেছিলেন কি-না- তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে সাকা চৌধুরীর পক্ষে আবেদন করায় ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হবে না- তা জানতে চেয়ে এ নোটিশ জারি করা হয়।

ওই বছরের ৭ মার্চ লিখিতভাবে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন ব্যারিস্টার ফখরুল। আবেদনটি পাওয়ার পর এ বিষয়ে আদেশের জন্য ৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

ওই বছরের ৮ এপ্রিল ব্যারিস্টার ফখরুল সময়ের আবেদন জানান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন এ বিষয়ে শুনানির আবেদন জানান। এসব আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পরেও এর নিষ্পত্তিতে শুনানি হয় কি-না- সে বিষয়ে সুলতান মাহমুদ সীমন এবং নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পরে শুনানির প্রয়োজন নেই ও ক্ষমা করে দেওয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার ফখরুল নিজেই কয়েক দফা শুনানিতে অংশ নেন।

শুনানি শেষে আদেশ দানের দিন বেশ কয়েক দফা ধার্য করলেও পিছিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগেও ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর আদালতের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শো’কজ নোটিশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। তারও আগে ১৫ মে সাকার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে সাক্ষ্য দান শেষে ট্রাইব্যুনালে এবং পরে সাংবাদিকদের কাছে কয়েক দফা ‘মিথ্যুক’ বলায় ব্যারিস্টার ফখরুলকে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হবে না, সে ব্যাপারে ‘কারণ দর্শাও’ নোটিশ জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ব্যারিস্টার ফখরুল ওই দু’দফায়ও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় তাকে ক্ষমা করে দেন ট্রাইব্যুনাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
এমএইচপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।