ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিক্ষক লাঞ্ছনা

৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে এসপি-ওসিকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৬
৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে এসপি-ওসিকে

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় আগামী ০৪ আগস্ট তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) ও বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুলের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ০৭ আগস্ট।

হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার (০৮ জুন) ওই ঘটনায় বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও এসপি এবং বন্দর থানার ওসি। পুলিশের পক্ষ থেকে এসপি তদন্ত শেষ করতে আরও দু’মাসের সময়ের আবেদন জানান। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) এসব প্রতিবেদন হাইকোর্টে উত্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন।
 
প্রতিবেদন দেখে আগামী ০৪ আগস্ট তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে নারায়ণগঞ্জের এসপি ও বন্দর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

গত ২৯ মে নারায়ণগঞ্জের ডিসি-এসপি ও বন্দর থানার ওসি এ ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিলে ০৮ জুনের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন একই হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালত ওই প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের ডিসি, এসপি ও বন্দর থানার ওসি যে প্রতিবেদন দিয়েছেন, তা দায়সারা গোছের। এতে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা সুস্পষ্ট করা হয়নি। এজন্য আগামী ৮ জুনের মধ্যে তাদের ফের প্রতিবেদন দিতে হবে।

আদালত আরও বলেন, দ্বিতীয় দফায় ঠিকমতো প্রতিবেদন না দিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ০৯ জুন পরবর্তী আদেশের জন্য কার্যতালিকায় আসবে বিষয়টি।  

গত ১৮ মে শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন একই হাইকোর্ট বেঞ্চ।    

স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বপ্রণোদিত হয়ে জারি করা এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এছাড়া ওই ঘটনার সময় কি কি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানিয়ে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় পুলিশ সুপারকে।

ওই ঘটনার বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসিন রশিদ। এর প্রেক্ষিতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।    

পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ডিসি-এসপি-ওসির প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। এ প্রতিবেদনগুলো নিয়ে শুনানি শেষে ২৯ মে ফের বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৬
ইএস/এএসআর

** তদন্তে আরও দু’মাস সময় চান নারায়ণগঞ্জের ডিসি-এসপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।