ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অননুমোদিত ব্যানার-ফেস্টুনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৬
অননুমোদিত ব্যানার-ফেস্টুনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা

ঢাকা: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় অননুনোমিত ব্যানার-ফেস্টুন লাগালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান।

রিটকারী সংগঠন পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. খোরশেদুল আলম।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১৮ মার্চ হাইকোর্ট রাজধানীতে অননুমোদিত সকল পোস্টার, ব্যানার ও তোরণ অপসারণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুলও জারি করে। চলতি বছরের গত ১৪ আগস্ট ওই রুল শুনানিতে আদালত অপসারণের বিষয়ে দুই সিটি কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা ২২ আগস্টের মধ্যে জানতে চেয়েছেন।

এ আদেশ মোতাবেক প্রতিবেদন দাখিল করে দুই সিটি করপোরেশন। এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে বুধবার রায় দেওয়া হয়।
 
আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী বলেন, ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় অননুনোমিত ব্যানার-ফেস্টুন লাগালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন হাইকোর্ট।

দক্ষিণ সিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের জুলাই মাস হতে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪৩ হাজার ৯০৩টি ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করেছে। এর মধ্যে অপসারিত ব্যানার ১১ হাজার ২৭৪টি, ফেস্টুন ১৩ হাজার ৯০৫টি এবং পোস্টার ১৮ হাজার ৭২৪টি। এছাড়া ৫৭৭টি বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি নগরীকে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও বসবাসযোগ্য রাখার লক্ষ্যে এই অপসারণ কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, লিফলেট, কাট-আউট ইত্যাদি প্রচারণামূলক উপকরণ না লাগানোর অনুরোধ জানিয়ে সকল মন্ত্রণালয়কে পত্র দেওয়া হয়েছে।

উত্তর সিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উক্ত সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় অননুমোদিত বিভিন্ন প্রকার বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, গেইট, তোরণ, দেয়াল লিখন ইত্যাদি অপসারণে করপোরেশনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে এই অপসারণ কার্যক্রম ৯০ ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। এছাড়া করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাকে এই অপসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সকল আঞ্চলিক কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকা থেকে গত এক বছরে প্রায় ২০ হাজার অবৈধ বিলবোর্ড এবং ৭০ হাজার ব্যানার-ফেস্টুন উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।