ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঝিনাইদহে বখাটেদের বিষয়ে প্রতিবেদনে আরও দু’দিন সময়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৬
ঝিনাইদহে বখাটেদের বিষয়ে প্রতিবেদনে আরও দু’দিন সময়

মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামের বর্গাচাষি শাহানূর বিশ্বাসের ওপর হামলাকারী বখাটেদের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে আরও দু’দিন সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ঢাকা: মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামের বর্গাচাষি শাহানূর বিশ্বাসের ওপর হামলাকারী বখাটেদের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে আরও দু’দিন সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে ২২ নভেম্বর শাহানূর বিশ্বাসের ওপর হামলাকারী বখাটেদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারাবন্দী (গ্রেফতার) করে  ২৭ নভেম্বর প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেন।
 
রোববার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে আসামিদের কারাবন্দী করার বিষয়টি অবহিত করেন। তবে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে আর দু’দিন সময় আবেদন করলে আদালত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন।
  
বখাটেদের হামলায় দুই পা হারানো শাহানূর বর্তমানে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন।

ওইদিন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ দৃষ্টিগোচর হওয়ায় স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন আদালত।

২২ নভেম্বর মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই পত্রিকার সংবাদে বলা হয়েছে, ‘শাহানূরের আত্মীয় ইয়াকুব আলী ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলায় অভিযোগ করেন, মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতো আসামিরা। এর প্রতিবাদ করেন বাবা শাহানূর। এ কারণে গত ১৬ অক্টোবর বখাটেরা শাহানূরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তারা প্রথমে লোহার শাবল দিয়ে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় শাহানূরকে। পরে হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে হাঁটুতে আঘাত করে। দলের অন্যরা লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পেটায়। এতে শাহানূরের মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয়’।

‘ফলে শাহানূরের দু’টি পা হাঁটুর ওপর থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে। তার পায়ে এ পর্যন্ত মোট চারবার অস্ত্রোপচার হয়েছে এবং ২০ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে’।
 
এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন ইয়াকুব। ১৬ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি করেন শাহানূরের ভাই মহিনূর। মামলার পর তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এদিকে আদালতের আদেশের পরদিন ২৩ নভেম্বর বাকী ১৩ আসামি আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঝিনাইদহের একটি আদালত।

আসামিরা হলেন- ওই গ্রামের মাহাবুর রহমান, আযম আলী, মোতালেব হোসেন, বিল্লাল হোসেন, জাহিদ হোসেন, রুহুল আমীন, আরিফ হোসেন, বিপ্লব হোসেন, হাসান আলী, দুখু মিয়া, এমদাদুল হক, আবু তালেব ও কামাল হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৬
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।