ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নার্গিস হত্যা চেষ্টা মামলায় মা-বাবাসহ ১৫ জন সাক্ষ্যগ্রহণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
নার্গিস হত্যা চেষ্টা মামলায় মা-বাবাসহ ১৫ জন সাক্ষ্যগ্রহণ

সিলেটে কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যা চেষ্টা মামলায় তার মা-বাবা, বদরুলের জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারক ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সিলেট: সিলেটে কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যা চেষ্টা মামলায় তার মা-বাবা, বদরুলের জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারক ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরুর আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

এ নিয়ে মামলার মোট ৩৭ আসামির মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

আগামী ১৫ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন হামলার শিকার নার্গিস ও স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসককে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার আদালতে সাক্ষ্য দেন খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া, অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম উম্মে সরাবন তহুরা, তামান্না বেগম, মহানগরীর শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল মুন্সি, মোর্শেদ উদ্দিন বিশ্বাস, পুলিশের উপ সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) কামরুল হুদা ও আব্দুল হালিম, এটিএসআই আসাদুজ্জামান, এসআই মো. সাজ্জাদুর রহমান, কনস্টেবল আশীষ কৈরী, জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারী শাহজালাল নুরুল হুদা, মো. সাদিক আহমদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) হারুন অর রশিদ, নার্গিসের মা মনোয়ারা বেগম ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরোসার্জন ডা. আতিকুল গণি।

এর আগে গত ০৫ ডিসেম্বর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, আহত অবস্থায় খাদিজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কলেজ শিক্ষার্থী ইমরান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরাও ছিলেন।

আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আগামী ধার্য দিনে খাদিজা ও স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসককে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

গত ০৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসএমপির শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ। ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণের পর ২৯ নভেম্বর বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।

গত ০৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিস এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর ক্যাম্পাসে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন বখাটে বদরুল। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক।

এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
এনইউ/আরআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।