বুধবার (০৪ জানুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
২০১৪ সালের জুলাই মাসে রোজার ঈদকে সামনে রেখে স্টার জলসার ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ সিরিয়ালের পাখি চরিত্রের নামে পোশাক কিনতে না পেরে বাংলাদেশে অনেকে আত্মহত্যা করে। এ নিয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে ওই বছরের আগস্ট মাসে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট করেন আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী।
তখন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে উত্থাপিত হয়নি মর্মে আবেদনটি খারিজ করে দেন।
এরপর আবার নতুন করে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে একই সালের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে বাংলাদেশে ভারতীয় তিনটি টিভি চ্যানেলের (স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা) সম্প্রচার বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই সময় আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া বলেছিলেন, ভারতে বাংলাদেশের কোনো টিভি চ্যানেল প্রচার হয়না। অথচ বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের অবাধ সম্প্রচারের ফলে যুব সমাজ ধ্বংসের সম্মুখীন। সর্বশেষ তাদের একটি টিভি চ্যানেল স্টার জলসার ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ সিরিয়ালের পাখি চরিত্রের নামে পোশাক কিনতে না পেরে বাংলাদেশে অনেকে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি বলেন, একটি দৈনিকে এ নিয়ে ‘পাখি প্রেমে প্রাণ বিসর্জন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশের ঘরে-ঘরে বাড়ছে ভারতীয় ধারাবাহিক নাটকের জনপ্রিয়তা। এসব সিরিয়াল-প্রীতির কারণে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ক্রমেই দর্শক হারাচ্ছে, দেশ হারাচ্ছে নিজস্ব সংস্কৃতি। কিশোরী-তরুণীদের ফ্যাশনেও এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে’।
সর্বশেষ, ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসার ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ সিরিয়ালের ‘পাখি’র প্রেমে প্রাণ যায় এক যুবক ও শিশুর। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
ইএস/জেডএস